দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড বইয়ের লেখক আর্নেস্ট হোলমস
আর্নেস্ট হোলমস( Ernest Holmes) ছিলেন একজন বিখ্যাত আধ্যাত্মিক শিক্ষক, দার্শনিক, এবং লেখক । তিনি রিলিজিয়াস সায়েন্স( Religious Science) নামক আধ্যাত্মিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা মানুষের মনের শক্তি এবং চিন্তার মাধ্যমে নিজেদের বাস্তবতা পরিবর্তন করার ধারণাকে প্রচার করে । তাঁর কাজের মূল প্রতিপাদ্য ছিল — চিন্তা এবং মন মানুষের বাস্তবতা গঠন করার শক্তি রাখে, এবং যে কোনো ব্যক্তি এই শক্তিকে ব্যবহার করে তার জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম ।
হোলমস ছিলেন একজন পজিটিভ থিঙ্কিং এর প্রবক্তা, যা বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় । তিনি বিশ্বাস করতেন যে, আমাদের মনের শক্তি এবং ভাবনা এমন এক শক্তি যা আমাদের জীবনে সাফল্য, স্বাস্থ্য, এবং সুখ আনতে পারে । তাঁর লেখা দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড( The Cautions of Your Mind) এই একই ধারণাকে কেন্দ্র করে রচিত একটি বই, যা মানুষের মনের অসীম শক্তি ও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে গভীর ধারণা প্রদান করে ।
বইটি মূলত মানুষের মনের ক্ষমতা এবং বিশ্বজনীন আইনগুলোর সাথে এর সম্পর্কের আলোচনা করে । হোলমস এই বইয়ে বর্ণনা করেছেন কিভাবে একজন ব্যক্তি তার চিন্তাভাবনা এবং মনোভাবের মাধ্যমে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে । বইটি আধ্যাত্মিক এবং বাস্তবিক দিক থেকে একটি নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে, যা প্রতিটি পাঠককে তার মনের শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনে চমৎকার পরিবর্তন আনার জন্য উদ্বুদ্ধ করে ।
হোলমসের মতে, মন এবং চিন্তা এমন এক শক্তি যা প্রতিটি মানুষের মধ্যে নিহিত রয়েছে, এবং সেই শক্তি বুঝে কাজ করলে পৃথিবীকে একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করা সম্ভব । তাঁর উপদেশ এবং শিক্ষাগুলি শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক দিক থেকে নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।
নিষ্কর্ষ আর্নেস্ট হোলমস তার লেখনীর মাধ্যমে আমাদের শেখান যে, প্রতিটি মানুষই নিজের মনের শক্তি জানলে এবং তা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে জীবনে অসীম সাফল্য এবং শান্তি পেতে পারে । দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড বইটি একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক দিক থেকে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্য করে, তেমনি ব্যক্তিগত উন্নতি এবং মানসিক শান্তির পথও দেখায় ।
এটি ছিল লেখক আর্নেস্ট হোলমস এবং তাঁর বই দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড সম্পর্কিত প্রথম আর্টিকেল । পরবর্তী দুইটি আর্টিকেলে বইটির বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে ।
ধন্যবাদ, এবার শুরু করা যাক । আমি বইটির প্রথম কিছু অধ্যায় নিয়ে বিশদ আলোচনা করতে যাচ্ছি, যাতে আপনাদের ধারণা থাকে যে কীভাবে এই বইটি আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ১ মনের শক্তির অদ্ভুততা
বইটির প্রথম অধ্যায়টি শুরু হয় মনের শক্তি এবং এর গুরুত্বের উপর আলোচনা দিয়ে । আর্নেস্ট হোলমস প্রথমেই মন এবং বাস্তবতার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছেন । তিনি মেনে নিয়েছেন যে, আমাদের চিন্তা এবং অনুভূতি আমাদের জীবনের পরিস্থিতি এবং বাস্তবতা গঠন করে । এই অধ্যায়ে তিনি মনের শক্তির উপর গভীর আলোকপাত করেছেন, যা মানুষকে তার জীবনে চমৎকার পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে পারে ।
হোলমসের মতে, মনের ভিতর যে চিন্তা প্রবাহিত হয় তা আমাদের ভাগ্যকে তৈরি করে । তিনি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ধারণা উপস্থাপন করেছেন —" আপনি যা বিশ্বাস করেন, তা আপনার বাস্তবতা হয়ে ওঠে ।" এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করতে পারে, কারণ এটা জানানো হচ্ছে যে আমরা নিজের জীবনকে গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখি, আমাদের চিন্তা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে ।
এছাড়া, তিনি আমাদের মনকে একটি বীজের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয়, তাহলে তা সুন্দর ফুল বা ফল হতে পারে । তবে, যদি সঠিক যত্ন না নেয়া হয়, তবে তা একটি খারাপ ফলও দিতে পারে । এই অধ্যায়টি আমাদের শিখিয়েছে যে, মনের প্রতি যত্ন এবং আমাদের চিন্তার ধরণ যদি ইতিবাচক হয়, তবে আমাদের জীবনও ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাবে ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ২ আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমূল্যায়ন
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আর্নেস্ট হোলমস আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমূল্যায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন । তিনি বলছেন, যে ব্যক্তি নিজের শক্তি এবং ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত, সে সহজেই জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে । মনোযোগ এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য মানুষের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা এবং দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা জরুরি । আত্মবিশ্বাস হলো সেই শক্তি, যা মানুষের নিজেকে এবং তার ক্ষমতাকে বিশ্বাস করতে সাহায্য করে ।
এই অধ্যায়টিতে হোলমস আত্মবিশ্বাসের উপাদান হিসেবে' মনের দৃঢ়তা' এবং' আত্মসম্মান' বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন । তিনি বলছেন যে, আপনি যদি আপনার ভিতরের শক্তি অনুভব করতে পারেন, তবে আপনি যে কোনো পরিস্থিতিতেই সফল হতে পারবেন । আত্মবিশ্বাস শুধু আমাদের সফলতা না, বরং আমাদের মানসিক শান্তি এবং সুখও আনে ।
অবশ্যই, আমি আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো । চলুন, বইটির পরবর্তী অধ্যায়গুলো নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করা যাক ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ৩ আপনার মনের শক্তির ব্যবহার
তৃতীয় অধ্যায়টি মনের শক্তির ব্যবহারের উপর আলোকপাত করে । হোলমস এখানে বলেন, যে কোন ব্যক্তি যদি নিজের মনের শক্তি ও ক্ষমতা পুরোপুরি বোঝে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিখে, তাহলে সে তার জীবনে যেকোনো অন্ধকারতম পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে । তিনি আরও বলছেন যে, মনের শক্তি শুধুমাত্র পজিটিভ চিন্তা ও বিশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি অভ্যন্তরীণ শক্তি, যা মানুষকে তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপায় উপলব্ধ করিয়ে দেয় ।
হোলমসের মতে, মানুষের মন একটি চমৎকার যন্ত্র, যা যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে তা একে অপরকে সমর্থনকারী শক্তির সৃষ্টি করে । বইয়ের এই অধ্যায়ে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, আপনাকে প্রথমে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, তারপর আপনার মনের শক্তি জানাতে হবে এবং সর্বশেষে নিজের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নিয়ে একাগ্রতার সাথে কাজ করতে হবে । তিনি এই ধারণা প্রচার করেছেন যে, মনের শক্তি ব্যবহার করে আপনি নিজের জীবনকে নতুনভাবে ডিজাইন করতে পারেন ।
হোলমস আরো এক জায়গায় বলেছেন," মনে যে সৃষ্টির ধারণা থাকে, তা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে ।" এই বক্তব্যটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের চিন্তা, পরিকল্পনা, এবং আস্থা আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ৪ আপনার বিশ্বাসের শক্তি
চতুর্থ অধ্যায়টি বিশেষভাবে মানুষের বিশ্বাসের শক্তি নিয়ে আলোচনা করে । এখানে হোলমস বলেন, মানুষের বিশ্বাসই তার বাস্তবতাকে তৈরি করে । আপনার বিশ্বাস যা, তা- ই আপনার জীবনকে গঠন করে । এটি বিশ্বাসের শক্তি, যা মানুষের জীবনে অপূর্ব পরিবর্তন আনতে পারে ।
এই অধ্যায়ে হোলমস বিশ্বাসের প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন । তিনি বলেন যে, আমাদের বিশ্বাস গঠন করার সময় আমাদের মনের গভীরে এক ধরনের শক্তি কাজ করে, যা আমাদের জীবনের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে সক্ষম । যদি আমরা ইতিবাচকভাবে বিশ্বাস করি, তবে আমাদের জীবনও ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যায় । কিন্তু যদি আমরা নেতিবাচকভাবে বিশ্বাস করি, তবে তা আমাদের জীবনে নেতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে ।
হোলমস এর সাথে একমত, যে প্রতিটি মানুষের বিশ্বাস তার অর্জনের পথকে নির্ধারণ করে । যদি আমরা নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক বিশ্বাস গড়ে তুলি, তবে তা আমাদের উন্নতি এবং সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি হয়ে উঠবে । তাই, এই অধ্যায়টি পাঠকের প্রতি আহ্বান জানায় যে, তারা তাদের বিশ্বাসের প্রতি সচেতন হোক এবং সেগুলিকে ইতিবাচক দিক থেকে পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হোক ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ৫ বিশ্বাস এবং প্রার্থনা
পঞ্চম অধ্যায়ে হোলমস বিশ্বাস এবং প্রার্থনার শক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন । তিনি বলেন, প্রার্থনা হলো একটি শক্তিশালী মনের কাজ, যা মানুষকে তার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় । তবে, প্রার্থনা কেবল শুদ্ধ ভাষায় বলা কোনো আবেদন নয় এটি একটি মননশীল মনোভাব যা মানুষের অন্তর্গত বিশ্বাসের শক্তিকে কাজে লাগায় ।
হোলমসের মতে, প্রার্থনা এবং বিশ্বাস একে অপরকে পূর্ণ করে । আপনি যদি সত্যি বিশ্বাস করেন যে, আপনার প্রার্থনা শোনা হবে, তবে সেটি কার্যকর হবে । তবে বিশ্বাস ছাড়া কোনো প্রার্থনা সফল হবে না । এই অধ্যায়ে তিনি আলোচনা করেছেন যে, প্রার্থনা করার সময় আমাদের অবশ্যই মন এবং হৃদয় একত্রিত করতে হবে, যাতে আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে সেই প্রার্থনা করতে পারি ।
এছাড়া, তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রার্থনা যখন সত্যিকারভাবে বিশ্বাসের সাথে করা হয়, তখন তা মানুষের জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসে । এটি মনকে একাগ্র করে, এবং প্রার্থনার মাধ্যমে আপনি নিজের জীবনের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারেন ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ৬ আপনার জীবন তৈরি করুন
ষষ্ঠ অধ্যায়ে হোলমস বলেছেন," আপনি আপনার জীবন নিজের মনের মাধ্যমে তৈরি করতে পারেন ।" এই অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানুষের নিজের ক্ষমতাকে পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে । তিনি জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নির্ধারণের পদ্ধতি তুলে ধরেছেন ।
হোলমস বিশ্বাস করেন যে, মন একটি নির্মাণকারী শক্তি । আপনি যদি দৃঢ়ভাবে কোন লক্ষ্য স্থির করেন এবং মন দিয়ে তার দিকে এগিয়ে যান, তাহলে সেই লক্ষ্য পূর্ণ হতে বাধ্য । এখানে তিনি একটি চমৎকার পরামর্শ দেন" আপনি যে ভাবনা বা ইচ্ছা নিয়ে কাজ করবেন, তা বাস্তবে রূপ নেবে ।"
নিশ্চিতভাবেই, চলুন এবার বইটির আরো কিছু অধ্যায় নিয়ে গল্পের মতো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ৭ মনের দৃঢ়তা এবং লক্ষ্য অর্জন
একদিন এক ছোট্ট গ্রামে বাস করত একটি তরুণ ছেলে, যার কাছে কিছুই ছিল না, শুধু ছিল তার একমাত্র শক্তি — তার মনের দৃঢ়তা । এই ছেলেটি কখনোই হাল ছাড়ত না, সে জানত যে, যদি তার মনের শক্তি শক্তিশালী হয়, তাহলে কোনো কিছুই তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা দিতে পারবে না । তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল, সে একটি বড় শহরে গিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করবে ।
হোলমস তাঁর সপ্তম অধ্যায়ে বলেন," আপনি যেভাবে চিন্তা করেন, সেভাবে আপনার বাস্তবতা তৈরি হয় ।" এর মানে, আপনার চিন্তা শক্তিই আপনার সাফল্য নির্ধারণ করে । তরুণ ছেলেটির মতো, যদি আমরা আমাদের মনের শক্তি এবং দৃঢ়তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তাহলে জীবন আমাদের উদ্দেশ্যকে পূর্ণ করতে শুরু করবে । ছেলেটি শহরে গিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করল, যদিও পথে বাধা ছিল । তবে, তার বিশ্বাস ছিল যে, সে তার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম । অবশেষে, তার ব্যবসা সফল হয়ে উঠল, এবং সে তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাল ।
হোলমস আমাদেরকে শেখান যে, আমাদের লক্ষ্য যতই বড় হোক না কেন, যদি আমাদের মনের দৃঢ়তা ও বিশ্বাস সঠিক থাকে, আমরা সফল হতে পারব । এই অধ্যায়টি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জীবনের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য, মনের শক্তির উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ৮ আধ্যাত্মিক চেতনা এবং জীবনযাত্রা
একসময় এক ব্যক্তি ছিল, যিনি সারা দিন কাজ করতেন, কিন্তু তার জীবন ছিল একেবারে অর্থহীন । তিনি মনে করতেন যে, তার জীবনের কোনও গভীর উদ্দেশ্য নেই । তিনি আধ্যাত্মিকতার বিষয়ে খুব একটা জানতেন না । একদিন, সে আর্নেস্ট হোলমসের দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড বইটি পড়তে শুরু করল এবং তার জীবনে এক নতুন আলোর দেখা পেল ।
হোলমস এই অধ্যায়ে বলেন," জীবন শুধুমাত্র বাহ্যিক সাফল্য এবং পেশাদারিত্বের ওপর নির্ভর করে না এটি আধ্যাত্মিক চেতনার গভীরতার ওপরও নির্ভর করে ।" আমাদের জীবনে আধ্যাত্মিক চেতনাকে অন্তর্ভুক্ত করলে, জীবন অনেক বেশি পূর্ণতা লাভ করতে পারে । ব্যক্তি যদি নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান বুঝে এবং তার মনকে শান্ত রাখে, তাহলে তার জীবন অনেক সহজ ও সুখী হতে পারে ।
যেমন ওই ব্যক্তি, আধ্যাত্মিক চেতনা অর্জনের পর বুঝতে পারলেন যে, জীবনের মূল উদ্দেশ্য শুধু নিজের সাফল্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক শান্তি ও সঠিক জীবনযাত্রা অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ । তিনি নিজেকে, পরিবারকে, এবং সমাজকে ভালোবাসতে শুরু করলেন, এবং তা তার জীবনে আনন্দ ও শান্তি নিয়ে এলো ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ৯ আত্ম- প্রেম এবং আত্মবিশ্বাস
একদিন এক মহিলা ছিল, যিনি সবসময় নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করতেন । তিনি ভাবতেন, তিনি যথেষ্ট ভালো নন, তার শক্তি নেই । কিন্তু একদিন তিনি দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড বইটি পড়লেন এবং আর্নেস্ট হোলমসের এই শিক্ষায় অবাক হয়ে গেলেন," আপনি যখন নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং ভালোবাসা তৈরি করেন, তখন আপনি জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারেন ।"
হোলমস বলেন," আত্ম- প্রেম এবং আত্মবিশ্বাস হলো জীবনের শক্তি ।" যদি আমরা নিজেদেরকে ভালোবাসতে না পারি, তবে বাইরের দুনিয়া আমাদের ভালোবাসবে না । যেমন ওই মহিলার, যিনি নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করলেন এবং নিজের ক্ষমতাকে বিশ্বাস করতে শুরু করলেন । তাতে তার জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটলো — তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল, তিনি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হলেন, এবং তার জীবন আরো সুখী হয়ে উঠল ।
এটি আমাদের শিখায় যে, আত্মবিশ্বাস এবং আত্ম- প্রেম মানুষের জীবনের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । যদি আমরা নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসা তৈরি করি, তাহলে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্য আসবে ।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ১০ পরিপূর্ণতা এবং আধ্যাত্মিকতা
হোলমসের দশম অধ্যায়টি আমাদের শেখায় যে, প্রতিটি মানুষই তার মধ্যে পরিপূর্ণতা এবং আধ্যাত্মিক শক্তি ধারণ করে । একটি ছোট্ট গ্রামে, একজন সাধু একদিন বলেছিলেন," আপনি যদি নিজের ভিতর পরিপূর্ণতা দেখতে পান, তবে আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মানুষ ।" তিনি বিশ্বাস করতেন যে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটি আধ্যাত্মিক শক্তি লুকিয়ে থাকে, যা যদি একসাথে কাজ করা যায়, তবে জীবনে সর্বোচ্চ পরিপূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব ।
হোলমস বলেন," আপনার জীবন সম্পূর্ণতা এবং পরিপূর্ণতার প্রতি আস্থা রাখলে, আপনি সেই পরিপূর্ণতা অনুভব করতে পারবেন ।" এটি তার মানে, আমরা যদি নিজের ভিতরের আধ্যাত্মিক শক্তি এবং পরিপূর্ণতা বুঝতে পারি, তাহলে আমাদের জীবন হবে পূর্ণতা এবং সুখে পরিপূর্ণ । এই অধ্যায়টি আমাদের শিখায় যে, আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে আমরা জীবনে পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারি ।
নিশ্চিতভাবে, চলুন দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড বইয়ের পরবর্তী অধ্যায়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক, গল্পের মতো করে ।
দ্য
মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ১১: মন এবং শরীরের সম্পর্ক
একদিন
একটি ছোট শহরে, একজন
মানুষ ছিল যে নিয়মিতভাবে
শরীর চর্চা করত কিন্তু তার
মনের উপর কোনো মনোযোগ
দিত না। সে বিশ্বাস
করত যে, শরীরের ভালো
অবস্থানই সবকিছু, কিন্তু তার মনের অবস্থা
ততটা গুরুত্ব পায় না। একদিন,
তার এক বন্ধুর কাছে
সে জানতে পারল, যে মনের শান্তি
এবং স্বাস্থ্য একইভাবে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে।
হোলমস
এই অধ্যায়ে বলেন, "মন এবং শরীর
একে অপরকে সমর্থন করে। আপনি যদি
আপনার মনকে শান্ত এবং
ইতিবাচক রাখেন, তাহলে আপনার শরীরও সুস্থ থাকবে।" মানসিক অবস্থার প্রভাব শরীরের উপর যে গভীর
প্রভাব ফেলে, তা তিনি উল্লেখ
করেন। উদাহরণ হিসেবে, যদি আমরা নিয়মিতভাবে
মানসিক চাপ এবং নেতিবাচক
চিন্তা করি, তবে এটি
শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব
ফেলতে পারে। বিপরীতে, যদি আমাদের মনের
মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা থাকে এবং আমরা
শান্ত থাকতে পারি, তবে শরীরও সুস্থ
থাকবে।
একদিন,
সে অনুভব করল যে, শুধু
শরীরের ফিটনেস নয়, মনের সুস্থতা
এবং শান্তি রাখতে পারলে তার জীবন আরও
সুন্দর হতে পারে। ধীরে
ধীরে, সে তার মনের
ওপরও মনোযোগ দেওয়া শুরু করল এবং
তার শরীরও আরও শক্তিশালী ও
সুস্থ হয়ে উঠল।
এই অধ্যায়টি আমাদের শেখায় যে, মন এবং শরীরের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন আপনার মনকে শান্ত রাখবেন, তখন শরীরও তার সুস্থতা বজায় রাখবে।
দ্য মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ১২: সৃষ্টির শক্তি
একবার
এক শিল্পী ছিল, যে সবসময়
নিজের সৃষ্টিকর্মের জন্য নতুন আইডিয়া
খুঁজে পেত। কিন্তু সে
জানত না, কিভাবে তার
মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও
চমৎকার কিছু তৈরি করবে।
একদিন, সে আর্নেস্ট হোলমসের
বই পড়তে শুরু করল
এবং সেখানে একটি চমৎকার উপদেশ
পেল, "আপনার মনে যে সৃষ্টির
ধারণা থাকে, তা আপনি যদি
বিশ্বাস করেন, তবে তা আপনার
বাস্তবতায় রূপান্তরিত হবে।"
হোলমসের
মতে, সৃষ্টির শক্তি প্রতিটি মানুষের মধ্যে রয়েছে। যদি আপনি সত্যিই
বিশ্বাস করেন যে, আপনি
কিছু সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে
আপনি সেটি বাস্তবায়িত করতে
পারবেন। শিল্পীটি হোলমসের এই কথাগুলো বুঝতে
পেরে, নিজের সৃষ্টির প্রতি বিশ্বাস বাড়াতে শুরু করল। তার
মনের শক্তি এবং বিশ্বাস তাকে
নতুন এবং অদ্বিতীয় কাজ
তৈরি করতে সাহায্য করল।
তার কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং মনের শক্তির
সমন্বয়ে, সে একে একে
একের পর এক শিল্পকর্ম
সৃষ্টি করতে শুরু করল
যা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হলো।
এই অধ্যায়টি আমাদের শেখায়, যে সৃষ্টির শক্তি
আমাদের মধ্যে সবসময় রয়েছে। আমাদের মনের শক্তি এবং
বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা অবিশ্বাস্য সৃজনশীল
কাজ করতে পারি।
দ্য
মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ১৩: সমৃদ্ধির জন্য মনের প্রস্তুতি
একজন
ব্যবসায়ী ছিল, যিনি সবসময়ই
নতুন নতুন পরিকল্পনা ও
উদ্যোগ নিতেন, তবে তার জীবনে
কিছুতেই সমৃদ্ধি আসছিল না। একদিন, সে
আর্নেস্ট হোলমসের বইটি পড়ে এবং
উপলব্ধি করল, "আপনি যদি সমৃদ্ধির
জন্য নিজের মন প্রস্তুত না
করেন, তবে আপনি কোনোভাবেই
সফল হতে পারবেন না।"
হোলমস
এই অধ্যায়ে বলেন, "মনেই সমৃদ্ধি আসে।
আপনার মন যদি সমৃদ্ধির
জন্য প্রস্তুত থাকে, তবে আপনি জীবনে
বাস্তবিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করবেন।" মানে, শুধু কঠোর পরিশ্রমই
সমৃদ্ধি আনে না, আপনার
মনের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতিও তা নির্ধারণ করে।
ব্যবসায়ীটি বুঝতে পারল যে, যদি
সে নিজের মনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন
করে এবং তার উদ্দেশ্যকে
স্পষ্টভাবে জানায়, তাহলে সমৃদ্ধি তার জীবনে আসবে।
এই অধ্যায়টি আমাদের শেখায় যে, মনের প্রস্তুতি
ছাড়া কোনো লক্ষ্যে পৌঁছানো
সম্ভব নয়। যদি আমরা
মানসিকভাবে সমৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত না
থাকি, তবে বাস্তবিকভাবে আমরা
তা অর্জন করতে পারব না।
দ্য
মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ১৪: সফলতার একান্ত গোপন রহস্য
একটি
ছোট শহরে এক যুবক
থাকতেন, যিনি সফলতা অর্জনের
জন্য সবকিছু চেষ্টা করছিলেন, তবে তার কিছুতেই
সফলতা আসছিল না। তিনি জানতেন
না, যে আসল গোপন
রহস্য হলো—"আপনি যা চান,
তা যদি পুরোপুরি বিশ্বাস
করে চান, তবে তা
আপনার কাছে চলে আসবে।"
হোলমস
এই অধ্যায়ে বলেন, "সফলতার একমাত্র গোপন রহস্য হলো,
আপনি যা চান তা
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা এবং বিশ্বাসের
সাথে কাজ করা।" যুবকটি
এই উপদেশ গ্রহণ করল এবং নিজের
লক্ষ্যে মনোনিবেশ করল। সে পুরোপুরি
বিশ্বাস করতে শুরু করল
যে, তার সফলতা একেবারে
হাতের মুঠোয়। ধীরে ধীরে, তার
সমস্ত পরিকল্পনা সফল হতে শুরু
করল, এবং সে জীবনে
এক নতুন স্তরে পৌঁছাল।
এই অধ্যায়টি আমাদের শেখায়, যে সফলতার জন্য
শুধু পরিশ্রমই নয়, আমাদের উচিত
নিজের বিশ্বাস এবং দৃঢ়তা বজায়
রাখা। যদি আমরা বিশ্বাস
করি, তাহলে সাফল্য আমাদের পেতে বাধ্য।
দ্য
মিরাকলস অফ ইয়োর মাইন্ড – অধ্যায় ১৫: আধ্যাত্মিক শান্তি ও সন্তুষ্টি
একজন
শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল, যে নিজের
জীবনে সত্যিকারের শান্তি ও সন্তুষ্টি খুঁজে
পাচ্ছিল না। তবে একদিন
সে আর্নেস্ট হোলমসের বই পড়তে শুরু
করল, এবং বুঝতে পারল
যে, "আধ্যাত্মিক শান্তি এবং সন্তুষ্টি আমাদের
নিজের মন থেকে আসে।"
হোলমস
বলেন, "আপনি যদি শান্তির
মধ্যে বসবাস করেন, তবে তা আপনার
চারপাশের পৃথিবীতে প্রতিফলিত হবে।" এটি শেখায় যে,
শান্তি আসলেই ভিতরের বিষয়, এবং এটি আমাদের
চিন্তা এবং মনোভাবের মাধ্যমে
আসে। লোকটি তার মনের শান্তি
এবং সন্তুষ্টি খুঁজে পেল এবং তার
জীবনকে নতুন অর্থ দিল।
তিনি বুঝতে পারলেন যে, যদি মন
শান্ত থাকে, তবে জীবনও শান্ত
থাকে।
এই অধ্যায়টি আমাদের শেখায়, যে আধ্যাত্মিক শান্তি
এবং সন্তুষ্টি আমাদের মন এবং দৃষ্টিভঙ্গির
মধ্যে নিহিত থাকে। যদি আমরা নিজের
ভিতরের শান্তি অনুভব করতে পারি, তাহলে
বাইরের পৃথিবীও শান্ত হবে।